২ পা হাতুরী দিয়ে পিটিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা - Alokitobarta
আজ : সোমবার, ১৭ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২ পা হাতুরী দিয়ে পিটিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা


আলোকিত বার্তা:বরিশাল নগরীর নবগ্রাম রোড জিয়া সড়কের মুখে দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড সংঘঠিত হয়েছে।এসময় নগরীর খালেদাবাদ কলোনীর মোস্তফা হাওলাদারের ছেলে কালাম ও আলেকান্দা কাজী পাড়ার বারেক সিকদারের ছেলে আরিফ গুরুত্বর জখম হয়েছেন। এসময় কালামের ২ পা হাতুরী দিয়ে পিটিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

একই সাথে মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার দুই পায়ের নখ প্লাস দিয়ে তুলে ফেলেসহ তার বাম হাতটিও ভেঙে ফেলা হয়েছে। এসময় কালামকে বাঁচাতে এগিয়ে আসা আরিফ নামের আরেক যুবকের ডান পা ভেঙে দিয়েছে সন্ত্রাসীরা।সংঘঠিত সন্ত্রাসীদের নগ্ন হামলায় আহত কালাম বর্তমানে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। সুস্থ হওয়া তো দুরের কথা জীবনটাই থাকবে কিনা তা নিয়েও সংশয় দেখা দিয়েছে। সূত্রে জানা গেছে, গত রবিবার সকাল ৯টায় নগরীর ২৩নং ওয়ার্ডের নবগ্রাম রোডে পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ.আর.খান সড়কে কুয়েত প্রবাসী রিপন খানের স্ত্রী ভুলু বেগম ও তার স্কুলছাত্রী কন্যা সাদিয়া এবং ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের ছাত্রী শ্রাবনিকে মারধর করেন রিপনের ভাই ভাংচুর মামলায় হাজতবাসকারী পুলিশের এএসআই মিজান খান।মিজানদের হামলায় আহত ৩জনকে উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে স্বজনরা।

এসময় আহত রিপনের ৭ বছর বয়সি পূত্র সালমান বাসায় একা থাকায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার উদ্দেশ্যে রিপনের ভায়রার দোকানের কর্মচারী কালাম ও তাদের স্বজন আরিফ গাড়িযোগে সালমানকে আনার জন্য নবগ্রাম রোডে রিপনের বাসার উদেশ্যে রওনা হলে জিয়া সড়কের মুখে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা জেলখাটা পুলিশের এএসআই মিজান খান, তার ছোট ভাই একাধিক মালায় আসামী জেলখাটা দাগী ক্রিমিনাল এবিএম বাসার খান, সহযোগী শহিদ, মহিম, বারেক. সুমন, রুবেল একাট্টা হয়ে গাড়ি থামিয়ে কালাম ও আরিফকে বেধরক মারধর করেন। এসময় আরিফকে মারধর করে তার একটি পা ভেঙে ফেলে নবগ্রাম রোডের যুবক হাউজিং এর মধ্যে ফেলে রেখে যায়। একই সময় কালামকে সিকদার পাড়া নুরু মিয়ার স্বপ্ন হাউজিং নিয়ে গিয়ে তাকে হাতুরী পেটা করেন মিজান ও বাসার বাহিনী।এসময় বাসার ও ফারুক কালামকে হাতুরী পেটা করে তা দু’পা গুড়িয়ে দেয়। একই সাথে তার পায়ের নখ প্লাস দিয়ে টেনে তোলা সহ তার একটি হাত ভেঙে দেয় ভয়ংকর এ সন্ত্রাসী বাহিনী। আহত কালাম স্বজনদের জানিয়েছে তাকে জিয়া সড়কের মুখে থেকে বাসার, পুলিশ মিজানুর রহমান ফারুক, শহিদ, মহিম, বারেক, সুমন, চোরা রুবেল তুলে নিয়ে হাতুরী পেটা করে তার দু’পা ও একটি হাত ভেঙে দিয়ে দুই পায়ের নখ প্লাস দিয়ে তুলে ফেলে। এসময় তার মুখ কাপড় দিয়ে বেধে রাখে সন্ত্রাসীরা। এমনকি পুলিশের খাতায় তালিকাভূক্ত দাগী অপরাধী এবিএম বাসার কালামের গোপন অঙ্গের অন্ডকোস চেপে ধরে প্রায় গলিয়ে ফেলার চেষ্টা চালায়। এসময় খবর পেয়ে রিপনের ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ে পড়–য়া কন্যা শ্রাবনির স্বামী সাকিব আহত কালামকে উদ্ধারের জন্য গেলে তাকেও বেধরক মারধর করেন এ সন্ত্রাসী বাহিনী। পরে হামলায় খবর পেয়ে কোতয়ালী থানার এসআই মোঃ সুলতান আহত কালামকে উদ্ধার করে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। কিন্তু কালামের অবস্থা মুমুর্ষ হওয়ায় শেবাচিমের চিকিৎসকরা তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরন করেছেন।

গরুত্বর আহত কালাম বর্তমানে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে মৃত্যু যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছেন বলে নিশ্চিত করেছেন তার স্বজনরা। এঘটনায় হামলায় অংশগ্রহনকারী সন্ত্রাসীরা নিজেদেরকে সেইভ সাইডে রাখতে ও আইন আদালত থেকে বাঁচাতে নিজেরাই সামন্য আহত হয়ে শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ বিষয়ে কুয়েত প্রবাসী রিপনের স্ত্রী তাছলিমা আক্তার কোতয়ালী মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। থানার এজাহার সুত্রে জানাযায়, নগরীর এ.আর.খান পুরি সড়কের আঃ রশিদ খানের ছেলে মিজানুর রহমান ফারুক, বাশার খান প্রায় সময়ই তার প্রবাসী ছেলে আঃ রহমান খান রিপনের স্ত্রী ও সন্তানদের সাথে বিভিন্ন প্রকার বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গত রবিবার সকালে প্রবাসীর বসত ঘরে প্রবেশ করে তার মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্রী শ্রাবনি আক্তার (১৯) ও বরিশাল হালিমা খাতুন বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীতে পড়ুয়া ছাত্রী জান্নাতুল মাওয়া সাদিয়া (১৪)কে এলোপাতারি কিল, ঘুষি ও লাঠি সোটা দিয়ে পেটায়। এমনকি তাদের পড়নের জামা কাপড় ছিঁড়ে শীলতাহানি ঘটায়। এমনটি লম্পট এবিএম বাসার ২ ভাতিজির আপত্তিকর স্থানে হাত বুলায় ও প্রবাসীর স্ত্রী তাছলিমা আক্তার (৩০)কে বাশার চুলের মুটি ধরে মাটিতে ফেলে দেয়। তখন পুলিশের এএসআই ফারুক লাঠি দিয়ে পেটায়।

এ সময় নগদ টাকা নিয়ে যায় এবং ঘর ভাংচুর করেন। আহতরা ডাক চিৎসার শুরু করলে হামলাকারীরা প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে দ্রুত ঘটনা স্থল ত্যাগ করেন। এ বিষয়ে বিরোধকৃতদের বাবা আঃ রশিদ খান ঘটনা সত্যত্বা স্বীকার করে বলেন, পুলিশ ফারুক ও বাশার বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ওরা কাউকে তোয়াক্কা করে না, এমনকি আমাকেও অনেক বার মেরেছে। বুড়ো বয়সে সন্তানদের হাতে মার খাওয়া আর সইতে পারছি না। ওরা আমার জন্মের সন্তান এটা মানুষের কাছে বলতে লজ্জা লাগে। পুলিশও ওদের কিছু করতে পারছে না। এ বিষয়ে মিজানুর রহমান ফারুকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি একজন পুলিশের এএসআই। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। রিপনের পরিবারের উপর ২ দফা হামলা হয়েছে বলে শুনেছি। কিন্তু সেখানে আমি ছিলাম না। অপর হামলাকারী বাসারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করে হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম জানায়,একটি অভিযোগ পেয়েছি। তবে আমরা শুনেছি ২ দফা তাদের উপর (রিপনের পরিবার) হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয় অব্যশই মামলা নিব এবং আইনানুগ কড়া ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

Top