প্রধানমন্ত্রী বললেন যা চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর বিষয়ে - Alokitobarta
আজ : বুধবার, ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদঃ
প্রাথমিকে পোষ্য কোটা বাদ, মেধার ভিত্তিতে ৯৩ শতাংশ শিক্ষক নিয়োগ কোনো অবৈধ বিদেশির জায়গা হবে না বাংলাদেশে ফায়ার সার্ভিসের ডিজি পরিবর্তন হলেও আওয়ামী লীগের প্রেতাত্মারা হেড অফিসে রয়েছে বহাল তবিয়তে এিপুরা , কাশ্মীরসহ ভারতের বিরোধীপূর্ণ বিভিন্ন রাজ্যে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন জরুরি এিপুরা , কাশ্মীরসহ ভারতের বিরোধীপূর্ণ বিভিন্ন রাজ্যে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন জরুরি এিপুরা ,কাশ্মীরসহ ভারতের বিরোধীপূর্ণ বিভিন্ন রাজ্যে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন জরুরি এবার বিআরটি লেইনে গুলিস্থান হয়ে গাজীপুর চলাচল করবে বিআরটিসির এসি বাস ষড়যন্ত্র রুখে দিতে প্রস্তুত অবসরপ্রাপ্ত সেনারা,ভারতের সঙ্গে আর নতজানু পররাষ্ট্রনীতি নয় অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে ফ্যাসিজমের প্রেতাত্মারা এখনো অবস্থান করছে থেমে আছে গ্রেফতারের উদ্যোগ

প্রধানমন্ত্রী বললেন যা চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর বিষয়ে


আলোকিত বার্তা:সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়ানোর বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘চাকরিতে ঢোকার বয়স বাড়ানোর দাবি করা হচ্ছে। ৩৫ বছরে যদি কেউ পিএসসিতে পরীক্ষা দেয়; ওই পরীক্ষা দিয়ে রেজাল্ট হয়ে চাকরিতে ঢুকতে ঢুকতে ৩৮ বছর হবে। ৩৮ বছর বয়সে একজন চাকরিতে ঢুকবে আবার কেউ কেউ ২২ বছর বয়সে একই চাকরিতে ঢুকবে। কত বছর ডিফারেন্সে দুইজন একসঙ্গে চাকরিতে ঢুকবে? এটা কি তারা চিন্তা করছে।মঙ্গলবার সংসদে সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান বিরোধীদলীয় উপনেতা বেগম রওশন এরশাদ সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা অন্তত ৩২ করার সুপারিশ করলে এর প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন,দেখা যায় কেউ হয়তো ২৪-২৫ বছরেই চাকরিতে ঢুকছে। তারা অবসরে চলে যাচ্ছে। আমরাতো ইতোমধ্যে অবসরে যাওয়ার বয়স ৫৭ থেকে বাড়িয়ে ৫৯ করেছি। যে ৩৮ বছরে চাকরিতে ঢুকবে সে ২২ অথবা ২৩ বছর চাকরি করতে পারবে। সে কিন্তু পূর্ণ পেনশন পাবে না।প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের জন্ম থেকে মেধা বা উদ্যম বা তারুণ্য বা সৃজনশীলতাটা সবথেকে বেশি থাকে ২৪ কিংবা ২৫ বছর বয়সে। ২১ বছরেই একজন মানুষ পূর্ণ মানুষ বলা হয়। ২১ বছর থেকেই একজনের পূর্ণতা পায়। ২১ থেকে ২৫ বছরই সবচেয়ে কর্মদক্ষতা থাকে। এই সময়টা কোথায় যাবে। একটা মানুষের সবচেয়ে মূল্যবাদ সময়টা ওরা কী করবে?তিনি বলেন,আমাদের তো ৩০ বছর পর্যন্ত চাকরির বয়স। ৩৮ বছর হলে আরও ৮ বছর চলে যাবে। এটা বৃদ্ধ না হলেও পৌঢ়তে চলে যাচ্ছে। এ সময় চাকরিতে ঢুকে তারা কী কাজ করতে পারবে? তারপর আবার বলা হবে অবসরের বয়স বাড়ানো হোক। অবসরের বয়সসীমা বড়ানো হলে নতুন চাকরি দেয়া যাবে না।

তিনি আরও বলেন, ‘তখন কেউ আর অবসরে যাবে না, পদখালি হবে না, আর চাকরিও দেয়া যাবে না। তাহলে আমরা যাবটা কোনদিকে? চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করলে অবসরের বয়স ৬২ বা ৬৫ করতে হবে। তখন নতুন চাকরিই দেয়া যাবে না। সুতরাং শুধু একটা দাবি তুললেই হয় না,সবকিছু বিবেচনা করতে হবে।শেখ হাসিনা বলেন, ‘চাকরির বয়স বাড়ানো নিয়ে যারা আন্দোলন করে তাদেরকে এগুলো বিবেচনায় নিতে হবে। হ্যাঁ, আমাদের উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিশেষ করে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে খুব কম খরচে পড়ানো হয়। সুতরাং ভালোভাবে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পাওয়া যায় সেটাই ভালো। সেটার সুযোগ দেয়া হচ্ছে। আমরা সরকার গঠন করার পর কোনোবারই পিএসসির পরীক্ষা স্থগিত রাখা হয়নি। নিয়মিত পরীক্ষা হচ্ছে এবং সবাই চাকরিতে ঢুকতে পারছে।তিনি বলেন,আমরা সেশনজট অনেকটাই কমিয়ে এনেছি। তবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু সেশনজট রয়েছে; সেটাও যাতে না হয় সে ব্যবস্থাও আমরা নিচ্ছি।

Top