ভাসানচরের বিরুদ্ধে নয় জাতিসংঘ
আলোকিত বার্তা:জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের বিরুদ্ধে নয় বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।রোববার রাজধানীর বিস (বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশাল অ্যান্ড স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ) মিলনায়তনে আয়োজিত সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা জানান তিনি।প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের কেন নোয়াখালীর ভাসানচরে স্থানান্তর করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা জাতিসংঘের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে। জাতিসংঘের তিনটি সংস্থার কর্মকর্তারাও ভাসানচর পরিদর্শন করে সন্তুষ্ট। এর আগে জাতিসংঘের মহাসচিবের বিশেষ দূত সফরের পর যে প্রতিবেদন দিয়েছেন সেখানেও ভাসানচর নিয়ে কোনো নেতিবাচক মন্তব্য নেই। বরং আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স এবং আলজাজিরা সঠিক সংবাদ পরিবেশন না করে এক ধরনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছিল।’
তিনি বলেন,‘বাংলাদেশ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিয়ে যে মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, অন্যকোনো দেশের ক্ষেত্রে তা কল্পনাও করা যায় না-এমন বক্তব্য জাতিসংঘের কর্মকর্তাদের। অতএব বাংলাদেশের এ সঙ্কট মোকাবেলায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ১১০ নম্বর পাওয়া উচিত।প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের শরণার্থী হিসেবে বলা বা না বলায় কিছু এসে যায় না। তবে আন্তর্জাতিক কনভেনশন অনুযায়ী তারা শরণার্থী হিসেবে স্বীকৃত নয়, বাংলাদেশ স্বীকৃতি দেয়নি।শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুর মতো সঙ্কট নিয়ে কূটনৈতিক তৎপরতা চালানো বেশ কঠিন এবং জটিল। বিশ্বের অন্যান্য শরণার্থী সঙ্কটের ক্ষেত্রেও একই ধরনের জটিলতা আছে। কিন্তু বাংলাদেশ বরং অন্যদের চেয়ে সঙ্কট মোকাবেলায় অনেক বেশি মানবিকতা দেখিয়েছে, সাফল্যেরও পরিচয় দিয়েছে।’
ইউএনএইচসিআর বাংলাদেশ প্রতিনিধি স্টিভেন কর্লিস বলেন,জাতিসংঘ চায় রোহিঙ্গারা দ্রুত মিয়ানমারে ফেরত যাক। কিন্তু সেখানে ফেরত যাওয়ার ক্ষেত্রে তাদের নিরাপদ বসবাস এবং নাগরিক অধিকারের নিশ্চয়তা নিশ্চিত হতে হবে। একই সঙ্গে বাংলাদেশে অবস্থানের সময় তাদের মানবিক চাহিদা যথাযথভাবে পূরণ করতে হবে।তিনি বলেন,বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের মানবিক আশ্রয় দিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে এবং এ সঙ্কট ব্যবস্থাপন ক্ষেত্রেও যথেষ্ট সাফল্যের পরিচয় দিয়েছে।এক প্রশ্নের জবাবে স্টিভেন কর্লিস বলেন, ‘ভাসানচরে স্থানান্তরের ক্ষেত্রে রোহিঙ্গাদের শরণার্থী হিসেবে পূর্ণ সুরক্ষা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।