সড়ক দুর্ঘটনায় আহত পাঁচ বছরের শিশু তামিমকে বাচাঁতে তরুদের সাহায্যে কামানা - Alokitobarta
আজ : রবিবার, ২৬শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১২ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সড়ক দুর্ঘটনায় আহত পাঁচ বছরের শিশু তামিমকে বাচাঁতে তরুদের সাহায্যে কামানা


মির্জাগঞ্জ(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি:‘মানুষ মানুষের জন্য’এ কথাকে চিন্তা করে পিতৃহারা পাঁচ বছরের এক শিশুকেবাঁচাতে চেষ্টা করছেন একদল তরুন। শিশু মোঃ মীর পলাশ ওরফে তামিমকে বাঁচাতেইতিমধ্যেই বিভিন্ন জনের কাছ থেকে চাঁদার মাধ্যেমে টাকা উত্তোলন করে তাঁরমায়ের হাতে এ পর্যন্ত প্রায় ১৪ হাজার টাকা দিতে সক্ষম হয়েছে তরুনরা। এদিকেস্বামী হারা তামিমের মা রুবি বেগম মানসিক ভারসাম্যেহীন। তাকে দেখাশুনার মতোকেউ নেই। প্রতিদিনই তরুন দলের প্রতিনিধি মোঃ রিয়াজ হোসেনসোহাগ(সাংবাদিক) দেখভাল করছেন। গত ১৩ এপ্রিল এক মটরসাইকেলের ধাক্কায় গুরুত্বরআহত হয়ে মির্জাগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে তামিম। টাকার অভাবে উন্নতচিকিৎসা করাতে না পেরে মির্জাগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তরুনদেরসূত্রে জানা যায়, পায়রা নদী তীরবর্তী উপজেলার মেন্দিয়াবাদ গ্রামের মৃত মোঃ হযরতআলীর(৩২) পুত্র তামিম। একমাত্র পুত্র তামিমের দেড় বছর বয়সে সময়ে স্ত্রী রুবিবেগমকে দুঃখের সাগরে ভাসিয়ে না ফেরার দেশে পারি জামান স্বামী হযরত আলী।স্বামীর মৃত্যুর পরে পলাশের মা দুশ্চিন্তায় মানসিক ভারসাম্যহীন হয়ে পড়েন।

রুবিবেগমের কষ্টের বোঝা শেষ না হতেই ১৩ এপ্রিল শনিবার সন্ধ্যায় তামিম তাঁর অসুস্থমায়ের সাথে অটোগাড়িতে করে বাড়ি থেকে নানা বাড়ি রওনা হয়। পথিমধ্যে উপজেলারচরাখালী ও গোলখালী মধ্যেখানের মহাসড়কে এক মটরসাইকেলের ধাক্কায় গুরুত্বর আহত হয়তামিম। স্থানীয় লোকজন তামিমকে আহত অবস্থায় মির্জাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন এবং তামিমের অবস্থা গুরুত্বর থাকায় কর্তব্যরত চিকিৎসকডাঃ মোঃ শামিমুর রহমান তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল মেডিকেল কলেজহাসপাতালে নেয়ার কথা বলেন। কিন্তু অসহায় মাতা রুবি বেগম তাঁর এক মাত্র ছেলের এঅবস্থা দেখে আরো ভেঙ্গে পড়েন এবং মাসনিক ভারসাম্যেহীন মাতা কিছুই বলতেপারেন না। এদিকে সহায়-সম্বলহীন নাতির দুর্ঘটনার খবর শুনে নানা হাসপাতালে এসেউন্নত চিকিৎসার খরচ বহন করতে পারবেনা বলে নিঃদাবী (বনসই) লিখিত দিয়েসুবিদখালী হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ অবস্থায় নাতির চিকিৎসার খরচ চালাতেহিমশিম খাচ্ছেন নানা। গত ৭দিনেও তামিমের তেমন কোন উন্নতি হয়নি এবংতাকে দুই-একদিনের মধ্যেই তামিতে হাসপাতাল থেকে রিলিজ দেয়া হবে। টাকারঅভাবে তামিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল নিতে পারছেনা। তবে কি টাকারঅভাবে থেমে যাবে অসহায় পলাশের জীবন। তামিম কি আর সুস্থ ভাবে বাঁচতে পারবেনা, দু’চোখের পানি ছেড়ে দিয়ে কথাগুলো বলেন তামিমের নানা। তামিকেহাসপাতালে নিয়ে আসা এক ব্যাক্তি জানান,ওইদিন বিকালে দুর্ঘটনার পরেইমটরসাইকেলটি আটকানো চেষ্টা করা হয়েছিলো। কিন্তু মটরসাইকেল ড্রাইভারটিদ্রæতগতিতে চালিয়ে যাওয়ার কারনে তাকে আর পাওয়া যায়নি। ডাক্তার বলেন,তামিম যেপরিমানে আহত হয়েছে তাতে তামিমকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল কিংবাঢাকাতে নেয়া প্রয়োজন।

সময়মতো চিকিৎসা না করালে ভবিষ্যাতে সমস্যা হতেপারে। তবে আমাদের সাধ্যে মতো চেষ্টা করে যাচ্ছি। তরুন দলের প্রতিনিধি ওসাংবাদিক মোঃ রিয়াজ হোসেন সোহাগ জোমাদ্দার বলেন,সড়ক দুর্ঘটনার খবর শুনেহাসপাতালে আসি। কিন্তু এখানে এসে এক মায়ের করুন আর্তনাথ দেখে হতভম্ব হয়েযাই। তবে মানুষের জন্যই তো আমাদের সাংবাদিকতা,তাই আমিও তামিমকে বাচঁতেচেষ্টা করে যাচ্ছি আর আপনারাও এই অবুঝ শিশুকে বাচাঁতে সাহায্যের হাত বাড়িতেদিন। এ পর্যন্ত বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ১৪ হাজার টাকার মতো সাহায্যে পাওয়াগেছে। উন্নত চিকিৎসার করাতে এবং তামিমকে বাচাঁতে অনেক টাকারপ্রয়োজন। দেশের হৃদয়বান ও বিত্তবান ব্যাক্তিদের কাছে তরুননা অসহায় শিশুটির জীবনবাঁচাতে সকলে সাহায্যের হাত বাড়ানো কামনা করেন। তামিমকে বাঁচাতে সাহায্যকরতে চাইলে, তরুন দলের প্রতিনিধি ও সাংবাদিক মোঃ রিয়াজ হোসাইন সোহাগজোমাদ্দার, মোবাইল নং-০১৭৬১৮৮০২১৩ এ নম্বরে যোগযোগ করুন।

Top