ধর্মঘট স্থগিত পাটকল শ্রমিকদের
আলোকিত বার্তা:সরকারি পাটকল শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘট স্থগিত হয়েছে। সোমবার রাতে শ্রম অধিদফতরের সভাকক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে আন্দোলনরত শ্রমিকদের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।বকেয়া মজুরি আদায়,মজুরি কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নসহ ৯ দফা দাবিতে খুলনার রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলের শ্রমিকরা সোমবার দ্বিতীয় দফায় ৯৬ ঘণ্টার টানা ধর্মঘটে নামেন। এর সংকট নিরসনে রাত সাড়ে ৭টার দিকে শ্রমিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন শ্রম প্রতিমন্ত্রী। বৈঠক শেষ হতে রাত ১২টা পেরিয়ে যায়। শেষে দাবি বাস্তবায়নে শ্রম প্রতিমন্ত্রীর আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে পাটকল শ্রমিক নেতারা ধর্মঘটসহ সব ধরনের আন্দোলন কর্মসূচি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেন।
বৈঠক শেষে শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক এ কে এম মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের ধর্মঘট স্থগিতের কথা জানান। বৈঠকে বাংলাদেশ পাটকল কর্পোরেশনের (বিজেএমসি) চেয়ারম্যান শাহ্ মোহাম্মদ নাছিম, বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক লীগের সভাপতি সরদার মোতাহার উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক এস এম কামরুজ্জামান চুন্নুসহ অন্যান্য নেতা উপস্থিত ছিলেন।শ্রম অধিদফতরের মহাপরিচালক বৈঠকের সিদ্ধান্ত তুলে ধরে বলেন, ‘আগামী ১৭ মে’র মধ্যে শ্রমিকদের মজুরি ফিক্সেশন সম্পন্ন হবে এবং আগামী ১৮ মে খাতায় উঠবে অর্থাৎ শ্রমিকদের অনুকূলে মজুরি স্লিপ দেয়া হবে।
আগামী ২৫ এপ্রিলের মধ্যে ১০ সপ্তাহের বকেয়া মজুরি আগের হারে এবং তিন মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে বলেও জানান মহাপরিচালক।মিজানুর রহমান বলেন,পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে মিল থেকে শ্রমিকদের এক সপ্তাহের মজুরি পরিশোধের জন্য বিজেএমসির চেয়ারম্যান মিল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেবে। এছাড়া আগামী ৮ মে বিজেএমসিতে পাটকল শ্রমিক লীগ ও সিবিএ নেতাদের সঙ্গে অন্যান্য দাবি-দাওয়া নিয়ে আলোচনা হবে।বাংলাদেশ পাটকল শ্রমিক লীগ ও সিবিএ-নন সিবিএর ডাকে এ ধর্মঘটের অংশ হিসেবে সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত যশোরের অভয়নগর উপজেলার রাজঘাট এলাকায় যশোর-খুলনা মহাসড়ক এবং খুলনা-ঢাকা রেলপথ অবরোধ করেন শ্রমিকরা।সোমবার ভোর ৬টা থেকে শুরু হওয়া এ ধর্মঘট আগামী শুক্রবার ভোর ৬টায় শেষ হওয়ার কথা ছিল। এর আগে একই দাবিতে গত ২ থেকে ৫ এপ্রিল ৭২ ঘণ্টার ধর্মঘট করেন পাটকল শ্রমিকরা।