সবকিছু উপেক্ষা বানের পানির মত আসছে ভারত থেকে ফেনসিডিল


মোঃ সাগর হোসেন,বেনাপোল(যশোর) প্রতিনিধিঃবেপরোয়া হয়ে উঠেছে বেনাপোল সীমান্তের ফেনসিডিল ব্যবসায়িরা। ঢাকডোল বাজিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য, যশোর পুলিশ সুপার, শার্শা বেনাপোলপোর্ট থানার ইনচার্জসহ মাদক মুক্ত সীমান্ত করা হবে বলে ঘোষনা দিলেওসম্প্রতি সীমান্ত এলাকায় মাদক ব্যবসা আশঙ্কা জনক ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।বানের পানির মত আসছে ভারত থেকে ফেনসিডিল ও মাদক। কোন ভাবেনিয়ন্ত্রন করা যাচ্ছে না সীমান্তের ওপার থেকে আসা ফেনসিডিল সহঅন্যান্য মাদকদ্রব্য। প্রতিদিন সীমান্তের আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীরসদস্যরা কিছু ফেনসিডিল সহ অন্যান্য মাদকের চালান আটক করলেও এর বড়অংশ চলে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়।স্থানীয় সুত্র জানায় বেনাপোল পোর্ট থানার বারোপোতা গ্রামের বুটকেল,রেজা, মুকুল ভারত থেকে ফেনসিডিলের বড় বড় চালান এনে থাকে। এরাদৌলতপুর ও পুটখালী সীমান্ত দিয়ে আইন শৃংখলা বাহিনী সদস্যদের চোখফাঁকি দিয়ে ওপার থেকে হাজার হাজার বোতল ফেনসিডিল এনে থাকে।
এদেরবহনকারী দুই একজন মাঝে মধ্যে ধরা পড়লেও বড় অংশ চলে যায় বিভিন্ন রুটদিয়ে দেশের প্রত্যান্ত অঞ্চলে। তবে সুত্র দাবি করে বলে,আইন শৃংখলা রক্ষাকারীবাহিনীর কিছু অসাধু কর্মকর্তাদের সহযোগিতায়ও পাচার হয়ে আসেমাদক।এদিকে এসব মাদক ব্যবসার সাথে আবার যুক্ত রয়েছে থানার ক্যাশিয়ার নামেকয়েকজন পাবলিক। বেনাপোল পোর্ট থান্ধাসঢ়;য় দির্ঘদিন ধরে পরিচিতআমির ওরফে কোটি পতি আমির ওরফে জামাই আমির থানার ¯িøপ বিক্রিকরে থাকে বলে একাধিক সুত্র জানায়। যশোর বেনাপোল রুটে তিনটিথানায় তিনজন ক্যাশিয়ার নিয়োগ আছে অলিখিত ভাবে। এর মধ্যে শার্শাথানায় আছে আলী, ও ঝিকরগাছা থানায় দেলোয়ার নামে একজন ক্যাশিয়ারনিয়োগ রয়েছে পুলিশের মাসিক, সাপ্তাহিক ¯িøপ বিক্রি করার কাজে।বেনাপোল থানার ক্যাশিয়ার আমির ওরফে জামাই আমিরও নিজে চোরাচালানিব্যবসার সাথে জড়িত। তিনি ভারত থেকে পাসপোর্টের মাধ্যমে কাস্টসম এরযোগসাজসে সরকারী রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নিয়ে আসে শাড়ি থ্রিপিস,ওড়না সহ নানান ধরনের গামেন্টস পন্য। অপরদিকে দৌলতপুর সীমান্তের তেরঘরনামক স্থান থেকেও নিয়ে আসে একই ধরনের পন্য। এছাড়া জামাই আমিরেরনিয়োগকৃত থানার¯িøপ বিক্রির কাজেও নিয়োজিত রয়েছে সীমান্তেএকাধিক লোক। শার্শা থানার ক্যাশিয়ার আলী হোসেনকে ¯িøপ বিক্রিকরতে মাঝে মধ্যে বেনাপোলও দেখা যায়।এ ব্যাপারে কথিত বেনাপোল পোর্ট থানার ক্যাশিয়ার আমির হোসেনেরকাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,আগের মত ¯িøপ বিক্রি হয় না। খুবঅসুবিধার মধ্যে আছি। একই সুরে কথা বলেন শার্শা থানার ক্যাশিয়ারআলি হোসেন।
তিনি বলেন থানার টার্গেট পুরুন করতে পারছি না।ইদানিং ¯িøপ খুব কম বিক্রি হচ্ছে।অপরদিকে বেনাপোলের পুটখালী এলাকায় প্রায় প্রতিদিন কমবেশীফেনসিডিলের চালান ধরা পড়ছে। গত ১৪ এপ্রিল পুটখালী বিজিবিসদস্যরা নাছির নামে এক ফেনসিডিল ব্যবসায়িকে ১৯৫ বোতলফেনসিডিল সহ আটক করে। ১০ এপ্রিল পৃথক অভিযানে জাহিদহোসেনকে ৬৬৮ বোতল ও নুরুজ্জামানকে ১৮০ বোতল ফেনসিডিল সহআটক করে। ৯ এপ্রিল ২০ বোতল মদ সহ আটক করে ফজলু নামে এক মাদকব্যবসায়িকে।বেনাপোাল পোর্ট থানার পুটখালী ক্যাম্পের সুবেদার লাভলুর রহমান বলেনআমরা, মাদকের বিষয় সচেতন। যাকে মাদক সহ আটক করি তার নিকট থেকেমালিক সহ কথা বের করে মামলা দিয়ে থানায় চালান করে থাকি।নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়, সীমান্ত পার হওয়া ফেনসিডিল, মদ ও গাজার বড়[বড় চালান বিজিবি আটক করলেও আটক করছে না পুলিশ। কারন থানারমাসিক, সাপ্তাহিক ¯িøপ থাকে চোরাচালানিদের কাছে।