আন্তর্জাতিক সম্মান বয়ে আনছে ফুটবলে মেয়েরা - Alokitobarta
আজ : রবিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদঃ
বিপুর বিপুল লুটপাট,পাহারায় উপদেষ্টার স্বামী ! ২৩ লাখ মৃত ভোটার,নতুন ভোটার ৬৩ লাখ সংসদ, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদের প্রস্তাবে দ্বিমত জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ছাত্র-জনতার গণহত্যায় জড়িত পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা পুরস্কৃত হচ্ছেন বিতর্কিতরা, বিবেচনায় নেই স্বৈরাচারবিরোধী অগ্রণী ভূমিকা পালনকারীরা চুরি, ডাকাতি, অপহরণ,অবৈধ দখলদারির সহ বিভিন্ন মামলা থাকা সত্ত্বেও দেশকে অস্থিতিশীল করার মাষ্টার মাইন... কুয়েট ভিসি-প্রোভিসিকে অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি দেশে শক্তিশালী উদ্ভাবনী সংস্কৃতি গড়ে তুলতে সবাই কার্যকর অবদান রাখবেন বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষ ১০-এ নেই রাজধানী ঢাকা নির্বাচন ঘিরে ভিন্ন কৌশলে এগোচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী

আন্তর্জাতিক সম্মান বয়ে আনছে ফুটবলে মেয়েরা


আলোকিত বার্তা:প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের খেলোয়াড়রাই জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের সুনাম অর্জন করছে। ফুটবলে মেয়েরা আজ আন্তর্জাতিক সম্মান বয়ে আনছে। এত বড় আয়োজনের (বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ) খেলা পৃথিবীর ইতিহাসে এই প্রথম।বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় আয়োজিত বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।প্রধানমন্ত্রী বলেন,ফুটবল বাংলাদেশের মানুষের অত্যন্ত জনপ্রিয় খেলা। আমার দাদা, বাবা ফুটবল খেলতেন এবং খেলা দেখতে পছন্দ করতেন। আমার ভাই শেখ কামাল এবং শেখ জামালও ফুটবল খেলতেন। আমার নাতি-পুতি, জয়ের মেয়ে, রেহানার ছেলে-মেয়ে সবাই ফুটবল খেলে। আমি ফুটবল পরিবার থেকেই উঠে এসেছি।শেখ হাসিনা বলেন, ফুটবল আমাদের দেশে অত্যন্ত জনপ্রিয় খেলা। মাঠে-ঘাটে, একেবারে গ্রাম পর্যায়ে খেলা চলে। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের সময়েও ফুটবল দল গঠিত হয়। আমাদের পরিবারের সবাই ফুটবল খেলার সঙ্গে জড়িত। কাজেই এই খেলাটির প্রতি আমাদের আলাদা আন্তরিকতা আছে।

বিকাল ৪টা ৬ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে উপস্থিত হন। এসময় সবাই করতালীর মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানান। এরপর মাঠে বসেই বেশকিছু সময় খেলা উপভোগ করেন তিনি।বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০১৮’ এবং ‘বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০১৮’ খেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি পুরস্কার বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন,গ্রামের ছেলেমেয়েদের খেলাধুলা করার জন্য প্রত্যেক উপজেলায় একটি করে মিনি স্টেডিয়াম করে দিচ্ছি।শেখ হাসিনা বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের যে আয়োজন করেছি সেখানকার খেলোয়াড়রাই জাতীয় দলে স্থান পাচ্ছে। তারাই আজ আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের সুনাম বয়ে আনছে। এ ধরনের উদ্যোগ না নিলে হয়তো এটা সম্ভব হতো না।ম্যাচ শেষ হওয়ার পরই কান্না শুরু করে টেপুগাড়ি বিকে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেয়েরা। কিছুতেই তাদের কান্না থামছিল না। স্কুলের শিক্ষকরাও যেন ব্যর্থ হচ্ছিলেন তাদের কান্না থামাতে। এমনকি পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে উঠেও কান্না করছিলেন তারা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে গিয়ে ছাত্রীরা পেল মায়ের স্নেহ। মুহূর্তেই ছোট ছোট মেয়েরা ট্রফি না পাওয়ার কষ্ট ভুলে গেল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদর ও ভালোবাসায়।মেয়েদের গলায় পদক পরিয়ে প্রধানমন্ত্রী বুকে টেনে নেন এক একজনকে। আরেক হাত দিয়ে মুছে দেন কান্নারত মেয়েদের চোখের পানি। তাদের দিয়েছেন সান্ত্বনা, দিয়েছেন এগিয়ে যাওয়ার উৎসাহ। মেয়েদের চোখের পানি মুছে দেয়ার সেই দৃশ্য যখন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের বড় পর্দায় ভেসে ওঠে তখন যেন আবেগ ছড়িয়ে যায় পুরো স্টেডিয়ামে।ছেলেদের বিভাগ অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় টুর্নামেন্টে ফাইনালে নীলফামারী সদরের দক্ষিণ কানিয়ালখাতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে সিলেটের জৈন্তাপুরের হরিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।অপরদিকে মেয়েদের বিভাগ অর্থাৎ বঙ্গমাতা গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় টুর্নামেন্টে ফাইনালে লালমনিরহাটের পাটগ্রামের টেপুরগাড়ী বি কে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে হারিয়ে শিরোপা জিতেছে ময়মনসিংহের নান্দাইলের পাঁচরুখী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।এবারের বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে অংশ নিয়েছে ৬৫ হাজার ৭৯৫টি বিদ্যালয়ের ১১ লাখ ১৮ হাজার ৫১৫ জন ছাত্র এবং বঙ্গমাতা গোল্ডকাপে অংশ নিয়েছে ৬৫ হাজার ৭০০ বিদ্যালয়ের ১১ লাখ ১৬ হাজার ৯০০ ছাত্রী। কোনো ফুটবল টুর্নামেন্টে এত দল ও খেলোয়াড়ের অংশগ্রহণ বিশ্বে নতুন ইতিহাস।

Top