সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে চতুর্থ ধাপেই
আলোকিত বার্তা:পাঁচ দফা উপজেলা নির্বাচনের মধ্যে চার দফার ভোট শেষ হয়েছে।এর মধ্যে সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে চতুর্থ ধাপে,যা অনুষ্ঠিত হয়েছে রবিবার। এই ধাপে ভোট পড়েছে ৩৭ শতাংশ। আগের ৩টি ধাপে এই হার ৪০ এর উপরে।১০ মার্চ অনুষ্ঠিত প্রথম ধাপে ১১১টি উপজেলায় ভোট পড়ে ৪৩ দশমিক ৩২ শতাংশ। ১৮ মার্চ অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় ধাপের ৭৮ উপজেলায় ভোট পড়ে ৪১ দশমিক ২৫ শতাংশ। আর ২৪ মার্চ অনুষ্ঠিত তৃতীয় ধাপের ১১৬ উপজেলায় ভোট পড়ে ৪১ দশমিক ৪১ শতাংশ।রবিবার অনুষ্ঠিত চতুর্থ ধাপে ১০৬টি উপজেলার মোট এক কোটি ৬৫ লাখ ৮৯ হাজার ৯৮১ ভোটারের মধ্যে মাত্র ৬০ লাখ ৫৪ হাজার ৬১৫ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, চতুর্থ ধাপে সব থেকে বেশি ভোট পড়েছে বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায়। এই উপজেলায় ভোট পড়েছে শতকরা ৭০ দশমিক ৮২। এখানে মোট এক লাখ আট হাজার ৩৫৭ জন ভোটারের মধ্যে ৭৬ হাজার ৭৪২ জন ভোট দিয়েছেন। চতুর্থ ধাপে সব থেকে কম ভোট পড়েছে ফেনী সদর উপজেলায়। এখানে ইভিএমের মাধ্যমে ভোট নেওয়া হয়েছে। এই উপজেলার তিন লাখ ৪৮ হাজার ২৫৯ জন ভোটারের মধ্যে ৪৭ হাজার ১৮ জন ভোট দিয়েছেন। এ অনুযায়ী ভোটের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৫০ শতাংশে।এবার দলীয় প্রতীকে প্রথমবারের মতো ভোট হচ্ছে উপজেলায়। শেষ ধাপে ১৮ জুন ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।গত ৩০ ডিসেম্বরের অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নজিরবিহীন কারচুপি হয়েছে এমন অভিযোগ তোলে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো এবারের উপজেলা নির্বাচন বর্জন করেছে। এতে নির্বাচনী উত্তাপ অনেকটা ফিকে হয়ে যায়। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারা বিভিন্ন স্থানে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র হিসেবে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় কিছুটা উত্তাপ ছড়ায়। এর মধ্যেও শতাধিক উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ক্ষমতাসীন দল থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।প্রতিদ্বন্দ্বিতা না থাকায় এবারের উপজেলা নির্বাচনে শুরু থেকেই আগ্রহ ছিল না ভোটারদের। এমনকি ক্ষমতাসীন দলের সমর্থক ভোটাররাও অনেকেই ভোটকেন্দ্রে যাননি বলে জানা গেছে। প্রতিটি ধাপেই কেন্দ্রে কেন্দ্রে ভোটারদের খরা লক্ষ্য করা গেছে।সর্বশেষ ২০১৪ সালে পাঁচ ধাপে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগ-বিএনপির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় দুই ধাপে; শেষে ব্যবধান বাড়িয়ে বেশিরভাগ উপজেলায় জয় পায় আওয়ামী লীগ। যদিও পরের ধাপগুলোতে অনিয়মের ব্যাপক অভিযোগ তুলে বিএনপি। ২০০৯ সালে ২২ জানুয়ারি এক দিনেই দেশের সব উপজেলায় ভোট হয়।এবারের উপজেলা নির্বাচনে সব মিলিয়ে দুই শতাধিক ব্যক্তি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলছেন,যা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নয়,তা নির্বাচন হয় কী করে?তিনি বলেন,আমার মতে নির্বাচন মানেই হচ্ছে একাধিকের মধ্যে বাছাই। তাই যা প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, তা নির্বাচন হয় কী করে? প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীনদের ইংরেজিতে ইলেকটেড না বলে সিলেকটেড বলা যেতে পারে।’প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীনভাবে জনপ্রতিনিধির পদে আসীন হওয়ার রেওয়াজ গণতন্ত্রের জন্য সুসংবাদ নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।