ড. এস এম ইমামুল হকের পদত্যাগ দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম
আলোকিত বার্তা:বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম ইমামুল হকের পদত্যাগ দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।চলমান ছাত্র আন্দোলনের সপ্তমদিন সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন তারা।এর আগে বেলা ১২ টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে উপাচার্যের পদত্যাগ দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। প্রায় ১ ঘণ্টার অবস্থান কর্মসূচি পালন শেষে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেন শিক্ষার্থীরা।
স্মারকলিপিতে ববি উপাচার্যের অপসারণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নানাবিধ সমস্যা সমাধানের কথা উল্লেখ করা হয়।এছাড়া স্মারকলিপিতে জাতীয় দিবসগুলোর (১৬ ডিসেম্বর, ২৬ মার্চ) অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সংযুক্ত না করা এবং এর প্রতিবাদ করায় শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা বলে কটূক্তি করার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে।স্মারকলিপি গ্রহণ করে জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন,বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে মৌখিতভাবে বিভাগীয় কমিশনার, সিটি করপোরেশনের মেয়রসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। আশাকরি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত সময়ের মধ্যে সব সমস্যার সমাধান করবেন। এসময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম বজায় রাখতে শান্তিপূর্ণভাবে শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাসে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানান।
স্মারকলিপি দেওয়ার পর শিক্ষার্থীরা সংক্ষিপ্ত এক সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া গণিত বিভাগের শেষ বর্ষের ছাত্র মহিউদ্দীন আহমেদ সিফাত।লিখিত বক্তব্যে সিফাত জানান,উপাচার্য স্যার শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা বলে কটূক্তি করেননি বলে দাবি করে বলেছেন শিক্ষার্থীদের কর্মকাণ্ড রাজাকার সদৃশ। আমাদের প্রশ্ন রাজাকার সদৃশ, রাজাকারের পক্ষের শক্তি ও রাজাকারের মধ্যে পার্থক্য কি? আমরা উপাচার্যকে প্রত্যাখ্যান করে হলে অবস্থান করছি। এরআগে দুইবার বর্তমান উপাচার্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়েছে। তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করে যাচ্ছেন।শিক্ষার্থীরা বলেন,মেডিকেল সেবা,ডাইনিং রুম বন্ধ রাখা হয়েছে। তারপরও আমরা ভিসির পদত্যাগ চাই। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আমাদের দাবির বিষয়ে কোনো সুরাহা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীদের আমন্ত্রণ না জানানোয় এর প্রতিবাদ করায় শিক্ষার্থীদের রাজাকারের বাচ্চা বলে গালি দেওয়ার অভিযোগ উঠে উপাচার্যের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে ওইদিন থেকেই ক্যাম্পাসে ভিসির পদত্যাগ সহ ১০ দফা দাবি আদায়ে বিক্ষোভ করে আসছে শিক্ষার্থীরা।