বাংলাদেশ নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে শান্তিরক্ষার বিধি প্রণয়নে - Alokitobarta
আজ : রবিবার, ২৩শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৯ই চৈত্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদঃ
২০টি ব্যাংক থেকে ৩৩ কোটি টাকা আদায়ের অভিযোগ আগামী তিনদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রসহ ঝড় বৃষ্টি হতে পারে স্বৈরাচারী ব্যবস্থা যাতে আবার ফিরে আসতে না পারে সেজন্য কতগুলো গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার করা বৈষম্য ও শোষণের শিকল ছিঁড়ে বারবার গণমানুষকে মুক্তি দিয়েছে দেশের তরুণরাই নির্বাচনের তারিখ পরিবর্তনের কোনো কারণ নেই দেশের সব সাংবাদিকের জন্য বেতন ৩০ হাজার অথবা ৪০ হাজার-ই হোক এর নিচে নামা যাবে না নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস উল্টে খাদে, আহত ১০ প্রশাসনের শীর্ষ পদে রেকর্ড চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ,১২ সচিব ওএসডি ফ্যাসিবাদের সুবিধাভোগী এসপিরা এখনো আছেন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ব্যাংক লুটের টাকা ৪ দেশে পাচার,নজিরবিহীন জালিয়াতির তথ্য বেরিয়ে আসছে

বাংলাদেশ নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে শান্তিরক্ষার বিধি প্রণয়নে


আলোকিত বার্তা:পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলেছেন, বাংলাদেশ শান্তিরক্ষার বিধি প্রণয়নে জাতিসংঘে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। জাতিসংঘ সদরদফতরে শান্তিরক্ষা কার্যক্রম সংক্রান্ত মন্ত্রী পর্যায়ের সভায় তিনি এ কথা বলেন।জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শনিবার বলা হয়, শুক্রবার অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রতিমন্ত্রী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের ২৬টি প্রতিশ্রুতির কথা তুলে ধরেন।শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে দ্রুত সাড়াদান প্রস্তুতির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পূর্ণ সামর্থ্যের কথা তুলে ধরে শাহরিয়ার আলম বলেন, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে দ্রুত সাড়াদান প্রস্তুতি ব্যবস্থার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ২৬টি ক্ষেত্রে অর্থাৎ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর নয়টি,নৌবাহিনীর ছয়টি, বিমানবাহিনীর তিনটি এবং বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর আটটি ক্ষেত্রে জাতিসংঘকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।তিনি বলেন,এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশ মানুষবিহীন আকাশ নজরদারি ব্যবস্থার বিষয়েও একটি প্রতিশ্রুতির ঘোষণা দিয়েছে।পিসকিপিং ইনিশিয়েটিভ, ২০১৪ সালে নিউইয়র্কে পিসকিপিং মিনিস্ট্রিয়াল, ২০১৫ সালে নিউইয়র্কে, ২০১৬তে প্যারিসে এবং ২০১৭তে ভ্যাঙ্কুভারে অনুষ্ঠিত দ্যা লিডার সামিট অন পিসকিপিং অনুযায়ী জাতিসংঘ এই মন্ত্রী পর্যায়ের সভার আহবান করে। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এতে উদ্বোধনী ভাষণ দেন।

মহান মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের জনগণের উপর ভয়াবহ সহিংসতার উদাহরণ টেনে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, অসামরিক জনগণের সুরক্ষায় বাংলাদেশ কিগালী নীতি অনুসরণ করছে। শান্তিরক্ষীদের প্রশিক্ষণেও ‘অসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষা’ বিষয়টি বিস্তারিতভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।প্রতিমন্ত্রী শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে যৌন নিগ্রহ ও এর অপব্যবহার রোধে বাংলাদেশের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা উল্লেখ করেন। জাতিসংঘের চাহিদা অনুযায়ী নারী শান্তিরক্ষী বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতির কথাও তিনি উল্লেখ করেন।তিনি বলেন,জাতিসংঘের নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা এজেন্ডাসমূহ এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ সর্বদাই সহায়ক ভূমিকা পালন করে চলেছে। প্রকৃতিগতভাবে শান্তি বিনির্মাণকারী হিসেবে নারীর ভূমিকা বৃদ্ধিতে সম্প্রতি জাতীয়ভাবে একটি কর্মপরিকল্পনার বাস্তবায়ন করেছে।
প্রতিমন্ত্রী শান্তিরক্ষীদের দায়িত্ব পালন এবং নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে সম্পদের পর্যাপ্ততা ও অন্যান্য নিয়ামকের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন শান্তিরক্ষা মিশনে সরবরাহকৃত বাংলাদেশের আধুনিক সামরিক সরঞ্জামাদির কথাও উল্লেখ করেন।জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অনুসৃত পররাষ্ট্র নীতি অনুযায়ী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত প্রতিশ্রুতির কথাও এ সভায় তিনি তুলে ধরেন।পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, পুলিশ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি প্রতিনিধিদল এ সভায় যোগ দেয়। -বাসস

Top