অগ্নিকাণ্ডের পর বনানীর এফআর টাওয়ার কিছুটা হেলে পড়েছে
আলোকিত বার্তা:অগ্নিকাণ্ডের পর বনানীর এফআর টাওয়ারের কলাম, স্ল্যাব ও বিম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ভবনটি কিছুটা হেলে পড়েছে। সংস্কারের আগে ভবনটি আর ব্যবহার করা যাবে না।রবিবার বেলা ১১টার দিকে এফআর টাওয়ার প্রাথমিক পরিদর্শন শেষে এ কথা বলেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) তদন্ত দল।অগ্নিকাণ্ডের তিনদিনের মাথায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে রাজউকের ছয় সদস্যের তদন্ত দল। বুয়েট ও সিটি করপোরেশনের প্রতিনিধিরাও ওই তদন্ত দলে ছিলেন। তারা ভবনটির বিভিন্ন ফ্লোর ঘুরে দেখেন।
কমিটির সদস্য ও বুয়েটের শিক্ষক সদস্য মেহেদী আহমেদ আনসারী বলেছেন, বাংলাদেশ ইমারত নির্মাণ বিধিমালা ও ফায়ার সেফটি কোড অনুযায়ী সংস্কার ছাড়া ভবনটি ব্যবহার করা যাবে না। এই ভবন সংস্কারে কমপক্ষে তিন মাস লাগবে। ভবনে কলাম ও স্ল্যাব ভেঙেছে এবং এটি কিছুটা হেলেও পড়েছে।তিনি বলেন, আমাদের যতদূর ধারণা, আগুনের সূত্রপাত হয়েছে ৮ তলার দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে, পরে তা ছড়িয়েছে। ভবনের স্ল্যাব ও বিমে ফাটল ধরেছে। তাই ভবনটিকে ঝুঁকিপূর্ণ বলছি। ভবনটি টিকবে কি টিকবে না সেটা ১৫০ দিন পরে বলতে পারব।তিনি আরো বলেন, ভবনে জরুরি নির্গমন পথ ছিল খুবই অপ্রশস্ত। কেবল একটি তলায় ফায়ার ডোর ছিল, আরো বেশ কিছু জায়গায় ত্রুটি রয়েছে। এগুলো সংশোধন ছাড়া ভবনটি ব্যবহার করা যাবে না।রাজউকের প্রধান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ হেলালী বলেছেন, প্রাথমিক পরিদর্শন শেষে ভবনটির কংক্রিট ও অন্যান্য নির্মাণসামগ্রী পরীক্ষা করে দেখা হবে। ১৮ তলা ভবনটি ২৩ তলা করায় তা কতটা ঝুঁকি তৈরি করেছে, সেটি খতিয়ে দেখতেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা।বনানীর ওই ভবনে বৃহস্পতিবার আগুন লেগে ২৬ জনের মৃত্যু হয়, আহত হয় অর্ধশতাধিক মানুষ। ১৮ তলার অনুমোদন নিয়ে ভবনটি ২৩ তলা করা হয়েছিল এবং অগ্নি নিরাপত্তার যথাযথ ব্যবস্থা সেখানে ছিল না বলে অভিযোগ উঠেছে।