পক্স ঠেকাতে চিকেন খাবার
আলোকিত বার্তা:শীতের শেষে বসন্তের সঙ্গে আসে চিকেন পক্স। চিকেন পক্স একটি ছোঁয়াচে রোগ। এটি ভ্যারিসেলা ভাইরাসের কারণে হয়ে থাকে। সাধারণত এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ১০ থেকে ২১ দিনের মধ্যে রোগের লক্ষণ প্রকাশ পায়। সারা শরীরে ছোট ছোট পানি ফোসকার মতো লালচে গোটা দেখা যায়। এটাকেই আমরা মূলত চিকেন পক্স বলি। এর সঙ্গে সঙ্গে জ্বর, মাথা ব্যথা, শরীর ব্যথা শুরু হয় এবং রোগী বেশ দুর্বল হয়ে পড়ে।বায়ুবাহিত এই অসুখ যাদের একবারও হয়নি, তাদের, বিশেষত শিশুদের অবশ্যই এই অসুখ থেকে বাঁচতে ভ্যাক্সিন নেয়া প্রয়োজন। যাদের ইতিমধ্যেই এই অসুখ হয়েছে, তারাও ফের শিকার হতে পারেন এর। তাই সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত সবার ক্ষেত্রেই।
বায়ুবাহিত এই অসুখ সহজেই সংক্রমণ ছড়ায়। তাই সতর্ক থাকতে হবে প্রথম থেকেই।চিকিৎসকদের মতে, এই সময় বাইরে বেরলে মাস্ক ব্যবহার করা উচিত। তাদের মতে,অসুস্থ মানুষের অসুখ ভাল না হওয়া পর্যন্ত তার ব্যবহৃত জিনিসপত্র ব্যবহার না করাইভাল, তার সংস্পর্শও এড়িয়ে চলতে হবে। তবে চিকিৎসা ও সেবাশুশ্রূষার প্রয়োজনে বারোগীকে সঙ্গ দিতে চাইলে চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সংক্রমণ রুখতে জরুরি কিছুওষুধ খান বা সচেতনতা অবলম্বন করুন।এই রোগের সবচেয়ে খারাপ দিক হল লালচে গোটার চুলকানি। পানি যুক্ত এই লালচে গোটা ফেটে গেলে তা আরও বেশি মাত্রায় ওঠা শুরু করে। কিন্তু সাবধানে থাকলে এই রোগে তেমন কোনও চিকিৎসা ছাড়াই আরোগ্য পাওয়া সম্ভব। কিন্তু সবচেয়ে ভাল হয়, যদি রোগে আক্রান্তের পর প্রতিকার করার চেয়ে আগে থেকেই সেটি প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা যায়।আমরা একটু সাবধানে থাকলেই এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার হাত থেকে রেহাই পেতে পারি। এই অসুখ ঠেকাতে খাবার পাতেও নজর দেয়া উচিত। জানেন কি, কী কী খাবারডায়েটে রাখলে এই অসুখ থেকে মুক্ত থাকা যায়?
সজনে ফুল
খাবার পাতে প্রায়ই রাখুন সজনে ফুল। এই সময় বাতাসের নানা অসুখ ঠেকাতে ওশরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সজনে ফুল অত্যন্ত উপকারী। প্রতিদিন খাবারেরপাতে রাখুন এটি।
নিম
নিম পাতা এমনিতেই জীবাণুনাশক। গোসলের সময় পানিতে নিম পাতা ফেলে গোসলও পাতে নিম পাতা রাখলে এই অসুখ রোখা অনেকটা সহজ হয়ে যায়। ভ্যারিসেল্লাভাইরাসেরর আক্রমণে এই রোগ হয়। নিমপাতা সেই ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে সাহায্যকরে।
বাঁধাকপি
শীতের শেষেও বাজারে আজকাল বাঁধাকপি থাকে। থাইরয়েডের সমস্যা না থাকলেএকে রাখুন পাতে। এর ভিটামিন, মিনারেল বায়ুবাহিত অসুখ ঠেকায়।
গাজর
বিটা ক্যারোটিন অক্সিড্যান্ট হিসেবে কাজ করে। যে কোনও সংক্রমণের সঙ্গে লড়তেগাজর খুব কার্যকর।
টকদই
দই শরীরের টক্সিন দূর করে, তাই শরীর পরিষ্কার হয়ে রোগ প্রতিরোধে সক্ষম হয়েওঠে। এ ছাড়া দইয়ের প্রোবায়োটিক উপাদান শরীরে সংক্রমণ ঠেকায়।